কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

প্রভাষকের আড়ালে যত আকাম!

উখিয়ায় মাহমুদুল হক নামক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুয়া দলিলের মাধ্যমে খতিয়ান সৃজনসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হত্যা, নারী নির্যাতন, মাদক কারবার, ডাকাতি, লুটপাট, অবৈধভাবে জায়গা দখলসহ অহরহ অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

মাহমুদুল হক হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁ বাজার পাড়া এলাকার মৃত জবর মুল্লুকের ছেলে এবং রাজাপালং এমইউ ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক।

মাদ্রাসায় ঠিকভাবে ক্লাস না নেওয়া ও দেরীতে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মাহমুদুল হক শিক্ষতা পেশাকে পুঁজি করে দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্ম করে আসছে। তার বেশভূষা নম্র-ভদ্র ও হুজুর টাইপের। তার ভেতরে রয়েছে ভয়ংকর প্রতারণার ফাঁদ।

অভিযোগ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

তার নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মাহমুদুল হক এর বিরুদ্ধে যথাক্রমে ক) কক্সবাজার এর উখিয়া থানার এফ আই আর নং-০২,তারিখ-০২ জুন,২০০৬; ধারা-৩০ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশােধনী ২০০৩; খ)কক্সবাজার এর উখিয়া থানার এফ আই আর নং-১৩, তারিখ-২৪ ফেব্রু, ২০০৫; জি আর নং-২৯/০৫ (উখিয়া) তারিখ-২৩ ফেব্রু, ২০০৫; ধারা-৩৭৯/৪৪৭/১৪৮/১৪৩ পেনাল কোড-১৮৬০ গ) বগুড়া এর বগুড়া সদর থানার এফ আই আর নং-৪৯, তারিখ-০৯ মার্চ, ২০১৪; জিআর নং-২৮০/১৮,তারিখ-০৯ মার্চ, ২০১৪; সময়-৩.৪০ মিনিট, ধারা-১৯(১) এর ৯(খ) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং ঘ)সিএমসি চট্টগ্রাম এর বাকলিয়া থানার এফ আই আর নং- ১৭,তারিখ-১৩ মে, ২০১৫; সময়-ধারা-১৯(১) এর ৯(খ) ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও ঙ)কক্সবাজার এর উখিয়া থানার আলােচ্য এফ আই আর নং-৪২ /৪৪১ ,তারিখ-২০ সেপ্টে, ২০২০; সময়-১১.৪৫ ঘটিকা, ধারা- ৩২৩ / ৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০; বিচারাধীন আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানায়, সবসময় মানুষ হয়রানিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড যেন তার নিত্যদিনের ব্যাপার। কিছুদিন যেতে না যেতেই একেকটা অপরাধে লিপ্ত থাকে সে। তাছাড়া সাধারণ মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে অসাধু কার্যকলাপ করানো ও বিভিন্ন ছলচাতুরীর মাধ্যমে অন্যের জায়গা ভোগদখল এবং রেজিষ্ট্রি দিবে বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে । তার ভয়ে এলাকার অনেক নিরীহ লোকজনকে জিম্মি হিসেবে বসবাস করতে হচ্ছে।

একইভাবে গত বুধবার সকালে দীর্ঘদীনের ভোগদখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তি সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর সংরক্ষণে গাইডওয়াল নির্মানকালে মাহমুদুল হকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে চারজন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় জড়িত মাহমুদুলকে প্রধান আসামি করে বুধবার বিকালে থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়।

বিভিন্ন জায়গার বন্ধুবান্ধবের সাথে আঁতাত রয়েছে তার। পরিচিত নেতাদের ভুল বুঝিয়ে অদৃশ্য ক্ষমতাবলে অপরাধ কর্মকাণ্ড করে থাকে মাহমুদুল হক।

পাঠকের মতামত: